মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের দশ টাকা কেজি মূল্যের চালের ডিলারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তি ও কার্ডধারীদের নামে চাল উঠিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেরার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে সরকার দশ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণের জন্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারকে গরীব, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রিশ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেয়। শুরু থেকেই এই ডিলার চাল বিতরণে অনিয়ম করে আসছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ত্রিশ কেজি চালের বিপরিতে ওই ডিলার ওজনে কম দেন। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে খালি হাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া বৈধ কার্ডধারী পরিবারকে চাল না দিয়ে তিনি তা আত্মসাৎ করে ভূয়া মাস্টার রোল জমা দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কার্ডধারী মৃত্যু ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়েও তাদের নামের চাল আত্মসাৎ করেন।
প্রতিকার চেয়ে ওই এলাকার ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে ডিলার জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন আবুল কালাম, ইলিয়াস হোসেন ও আসমা বেগম।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দশ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণ তালিকায় নাম থাকা ক্রমিক নং ৩৮৪ ঘোপখালী গ্রামের মৃত্যু জাহাঙ্গীর হাওলাদার, ক্রমিক নং ৩৭৯ মৃত্যু মোঃ মোনসের আলী হাওলাদার, ও ক্রমিক নং ২১২ চরকগাছিয়া গ্রামের মৃত্যু লাল মিয়া মাঝিসহ অসংখ্য মৃত্যু ব্যক্তির চাল তার পরিবারের কাউকে না দিয়ে ওই ডিলার তা আত্মসাৎ করেন।
ডিলার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারের কাছে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা। আমি সঠিকভাবেই তালিকায় অর্ন্তভূক্ত সকলর মধ্যে চাল বিতরণ করেছি। দুই একবার চাল বিতরণে নির্দিষ্ট পরিমাণ চালের চেয়ে ওজনে কিছুটা চাল কম-বেশী হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply